iv‡Zi AvKv‡k ভরা জ্যোৎস্না যেমন তেমনি গা ছমছম করা শেয়ালের হুংকার।
রাতগুলোতে নিকষ আঁধার ভেদ করা অমাবস্যা যেমন, তেমনি কলজে পানি করা বুনো হাতির দৌড়ও।
গনগনে গরম যেমন, ঠিক তেমনি কনকনে ঠান্ডার নির্মম দাপট...
পর্যটনের দিক থেকে বিবেচনা করলে বান্দরবানের সবচেয়ে অবহেলিত উপজেলা আলীকদম।
কেউ গোনাতেই ধরে না।
এক সুড়ঙ্গ ছাড়া সেখানে তৃষ্ণা মেটানোর মতন আর যে কিছুই নেই!
আলীকদমে এক পাহাড় আছে, নাম তার ‘মেরাইথং জাদি’। বড় কঠিন সে পাহাড়ের রাস্তা, একটানা দুই-আড়াই ঘণ্টা উঠতে হয়।
সেখান থেকে নাকি হাত বাড়ালেই চাঁদ ছোঁয়া যায়।
জ্যোৎস্নার আলোয় দূরের পাহাড় গোনা যায়—লিলুয়া বাতাসে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও কম্বল গায়ে ঘুরতে হয়!
আর
সকাল দেখেছি দুধসাদা মেঘের ভেতরে জেগে। পায়ের
পাতায় মেঘের ছোঁয়া, চোখের পাতায় মেঘলা ধোঁয়া, আর ছাতা মাথায় ভেজা ঘাসে শোয়া—সবকিছু বারবার অপার্থিব সুখের জানানই যেন দিচ্ছিল।পুব
আকাশ আলো করে এল সেই মহা কাঙ্ক্ষিত সকাল, ভোরের আলো ফুটতেই ঝড় তার সব ছানাপোনাকে নিয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেল দূরের এক পাহাড়ের আড়ালে! এ যেন এক
স্বর্গীয় সৌন্দর্য! পায়ের নিচ থেকে ঘাসের গা বেয়ে বেয়ে উঠছে সাদা সাদা ফেনিল মেঘ, তুলোর মতন লতানো সাদাটে আঁশ ধরে ধরে সে সামনে এগোচ্ছে মেঘকে ধাওয়া করে চলে যাই একেবারে পাহাড়ের শেষ কিনারা পর্যন্ত!
এ
এক অদ্ভুত মন ভালো করা খেলা...এ খেলায় ক্লান্তি
নেই।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা
থেকে চকরিয়া বাসস্ট্যান্ডে নেমে চান্দের গাড়ি দিয়ে আলীকদম যাওয়ার পথে আবাসিকে নেমে যাবেন, ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৬০ টাকা করে। আবাসিকে
নেমে ডান পাশের রাস্তাটা ধরে প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন আলীকদমের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় মেরাই থংয়ে। সেখানে
খাবার ও পানির কোনো
ব্যবস্থা নেই, কাজেই শুকনো খাবার ও পানি সমতল
থেকেই নিয়ে যেতে হবে।
No comments:
Post a Comment