ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণে মুখর এখন সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। সমুদ্রসৈকতটি ঘিরে ছোটখাটো সব ব্যবসাতেও প্রাণ ফিরেছে। পর্যটকেরা আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোতেও ঢুঁ মারছেন। তবে হোটেলের কক্ষ ও খাবারের দাম, ফটোশিকারিদের উৎপাত, মোটরসাইকেলচালকদের হাতে হেনস্তার অভিযোগ করেছেন পর্যটকেরা। এদিকে পর্যটক পুলিশ জানিয়েছে, পর্যটকদের জন্য সৈকতসহ আশপাশের স্থানজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। ঈদের দিন বিকেল থেকেই পর্যটকেরা কুয়াকাটাতে আসতে শুরু করেছেন। তবে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে পর্যটকের সংখ্যা বহুগুণে বাড়তে শুরু করেছে। পুরো এলাকা যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
সরেজমিন কুয়াকাটা ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতের জিরো পয়েন্টসংলগ্ন দু-দিকের অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পর্যটকদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। শিশু-কিশোরেরা যে যার মতো করে ছোটাছুটি করছে। সাগরের নোনা জলে নেমেছেন প্রায় সবাই। শুধু সৈকত নয়, এর আশপাশে বন বিভাগের জাতীয় উদ্যান, লেম্বুর চর, শুঁটকিপল্লি, মিশ্রীপাড়া বৌদ্ধমন্দির, রাখাইন মহিলা মার্কেটসহ আকর্ষণীয় সব পয়েন্টেই পর্যটক-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পর্যটকদের আগমনের কারণে খাবার হোটেল, চায়ের দোকান, শামুক-ঝিনুকের দোকানগুলোতে প্রচুর বিক্রি হয়েছে। সৈকতের পাড়ের ফুচকার দোকান, বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ফ্রাই বিক্রির দোকানগুলোতে ক্রেতার ভিড় লেগেই ছিল। সুযোগ বুঝে মাছের ফ্রাই বিক্রেতারা অতিরিক্ত মূল্য আদায় করে নিয়েছেন।
কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটার ৫২টির মতো আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। এর প্রতিটি কক্ষ ১৫ দিন আগেই বুকিং করে রাখা হয়েছে। ঈদের দিন বিকেল থেকেই বুকিং দেওয়া কক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকেরা এসে উঠেছেন। আগামী শনিবার পর্যন্ত সব কটি হোটেল-মোটেলে এমন পরিস্থিতি থাকবে।
স্থানীয় অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একসময় কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার সড়কপথে ফেরি পারাপার ছিল চরম ভোগান্তির। এখানে তিনটি নদীর ওপর নির্মিত সেতু এক বছর আগে চালু হওয়ায় কুয়াকাটায় দিন দিন পর্যটকের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
No comments:
Post a Comment